রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ তম প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ❑ শামছুন ফৌজিয়া

তুমি রবে নীরবে , হৃদয়ে মম

নিবীড় নিভৃত, পূর্নিমা নিশীথিনী শত

তুমি রবে নীরবে

আজ বিশ্বকবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ তম প্রয়াণ দিবসে ছন্দ কবিতা কাব্য গ্রুপের পক্ষ থেকে কবির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ।

বাইশে শ্রাবণ প্রিয় বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। তিনি বাংলা ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে মারা যান।

রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ আর মৃত্যু ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে। আজ আমাদের প্রিয় কবি গুরুর ৮০ তম মৃত্যু দিবসে কবির প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা । কবি গুরু মিশে আছেন বাংগালি জাতির সত্তায় তাঁর সৃষ্টি নিয়ে। অসংখ্য কবিকা, গান, গল্প, প্রবন্ধ তিনি রেখে গেছেন আমাদের জন্য যা যুগ যুগ ধরে আমাদেরকে প্রাণিত করে আসছে।

কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মায়ের নাম ছিল সারদা সুন্দরী দেবী এবং বাবা ছিলেন কলকাতার বিখ্যাত জমিদার দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর। রবীন্দ্র নাথ ছিলেন বাবা মায়ের ১৪ তম সন্তান। মাত্র ১৪ বছর বয়সে রবি মাকে হারান আর জমিদার বাবাকে ও ছোটবেলায় তেমন একটা কাছে পাননি । কেননা জমিদারির জন্য দেবেন্দ্র নাথের বেশি সময় কাটতো ঘরের বাইরে । রবীন্দ্র নাথের ছোটবেলা পারিবারিক পরিশীষন ও ভৃত্যদের সাথে কেটেছে । শৈশবে কবি গুরুর পড়াশোনা শুরু হয়েছিল কলকাতার ওরিয়েন্যাস সেমিনারী স্কুল, বেঙ্গল একাডেমী ও সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে।

রবীন্দ্র নাথের প্রথম কবিতা আট বছর বয়সে ছিল , জল পড়ে পাতা নড়ে

সেই যে শুরু হয়েছিল তা আর কেউ বা কোন বাঁধাই ঠেকাতে পারেনি। প্রকৃতি প্রেম ও মানব প্রেমের অপূর্ব মেল বন্ধন উপস্থাপিত হল তিনির কবিতা ও গানে। তিনি বাংলার রোমান্টিক কবি , কবিকে বাংলার জল, ফুল , পাখি, নদ নদী আকর্ষিত করত। তিনি ব্যারিষ্টারী পড়তে ইংল্যান্ডে ও গিয়েছিলেন। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ১৮৮৩ সালে ভবতারিণীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে কবি স্ত্রীকে মৃণালিনী দেবী নাম দিয়েছিলেন। ১৮৯১ সালে পিতার আদেশে জমিদারীর দেখা শোনা শুরু করেন। কবি বৈরাগ্য পছন্দ করতেননা। তিনি ছিলেন উদার ও সুন্দর মনের মানুষ।

বাংলা সাহিত্যকে কবি গুরু পৌছে দিয়েছিলেন বিশ্বের দরবারে। তিনি ১৯১২ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যকে ইংরেজীতে অনুবাদ করেন যা সং অফারিংস নামে ছিল। নোবেল কমিটির কাছে জমা দিলে কমিটি তাঁকে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেন এবং ১৯১৩ সালে তিনি নোবেল পুরষ্কার পান। গীতাঞ্জলী কাব্যে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা ছিল। ১৯১০ সালে কবিগুরুর গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। নোবেল জয়ী কবিগুরু বাংগালী ও বাংলা ভাষার জন্য নিয়ে এলেন সম্মান ও মর্যাদা। তাই রবীন্দ্র নাথকে বলা হয় বিশ্বকবি এবং কবি গুরু।

কবিগুরু ৫২ টি কাব্যগ্রন্থ , ৩৮ টি নাটক ১৩টি উপন্যাস ,৩৬টি প্রবন্ধ সহ অসংখ্য গান রেখে গিয়েছেন। তিনি শুধু কবি ছিলেন না একাধারে চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, সমাজ সংস্কারক , শিক্ষাবিদ, সুর স্রষ্টা, ব্যাকরণবিদ, শিল্প সমালোচক ও ছিলেন। তিনি বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। কবিগুরু ছোটদের নিয়ে ও রচনা করেছিলেন এবং তাঁর কাবুলিওয়ালা নাটকে মিনি চরিত্রটি এক যুগান্তকারী সৃষ্টি ।

রবীন্দ্র নাথ অমর হয়ে আছেন বাংগালির মনে , বাংগালির জীবনে ।

শ্রদ্ধা নিবেদনে

এডমিন প্যানেলের পক্ষে

শামছুন ফৌজিয়া

এডমিন

ছন্দ কবিতা কাব্য