Header Ads

শাহেদকে তারা কেউ আজ চেনেন না

শাহেদকে তারা কেউ আজ চেনেন না
জিয়াউদ্দীন আহমেদ
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ অধিদপ্তরের সাথে চুক্তির সূত্রে রিজেন্ট ও জেকেজি হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা ও রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার সুযোগ লাভ করে।চুক্তির শর্ত অনুযায়ী হাসপাতাল দুইটি করোনা রোগের নমুনা সংগ্রহ করে বিনামূল্যে তা জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, নিপসম, আইইডিসিআর প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান থেকে টেস্ট করিয়ে এনে রোগীদের অবহিত করা এবং রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার কথা।উক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে চার সহস্রাধিক রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়ে আনলেও রিজেন্ট হাসপাতাল কিন্তু জনসাধারণের কাছ থেকেও প্রতি টেস্টে তিন/চার হাজার টাকা করে নিয়েছে।চুক্তি মোতাবেক রিজেন্ট হাসপাতাল আবার এই সকল পরীক্ষায় খরচের পুনর্ভরণও চেয়েছে সরকারের কাছে।জেকেজিও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নমুনা উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পরীক্ষা করিয়ে এনে রোগীদের অবহিত করেছে- এই কাজটি চুক্তি অনুসারেই হয়েছে।কিন্তু এই দুটি হাসপাতাল যে জঘন্য অপরাধটি করেছে তা হচ্ছে, নমুনা পরীক্ষার জন্য না পাঠিয়েও এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্যাড, সিল, স্বাক্ষর ইত্যাদি জালিয়াতি করে রোগীদের করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে।তারা বিভিন্ন বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এনে তা কয়েক দিন রেখে পরীক্ষা না করেই ফেলে দিত এবং পরে মনগড়া একটি ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে দিতো।জেকেজি এমন পনের সহস্রাধিক এবং রিজেন্ট হাসপাতাল প্রায় ছয় হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে।র্যাবের আকস্মিক পরিদর্শনে উল্লেখিত অনিয়মগুলো প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত হাসপাতাল দুটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতাল যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ২০০৭ সন থেকে কার্যক্রম শুরু করলেও তারা ২০১৩ সনের পর থেকে আর তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নবায়ন করেনি; এর অর্থ হচ্ছে, হাসপাতালটি স্বাস্থ অধিদপ্তরের স্বাস্থবিধি মেনে চলছে না। চিকিৎসা সেবা দেয়ার সক্ষমতা না থাকা সত্বেও স্বাস্থ অধিদপ্তর রিজেন্ট ও জেকেজি হাসপাতালের সাথে চুক্তি করতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে।মার্চে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর কোনো হাসপাতাল করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে রাজী হচ্ছিলো না; রিজেন্ট এবং জেকেজি হাসপাতাল সম্মত হওয়ায় কোন বাছবিচার না করেই স্বাস্থ অধিদপ্তর তাদের সাথে চুক্তি করে স্বস্তি পেয়েছিলো।এতটুকু মেনে নেয়া যায়, কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী স্বাস্থসেবা দেয়া হচ্ছে কী না তা তদারকি না করা তো চরম অদক্ষতা ও অবহেলার সামিল।অনুমোদন কর্তৃপক্ষ প্রায়ই বলে থাকে, মনিটরিং বা পরিদর্শন করার মতো লোকবল তাদের নেই; কিন্তু ৬ মাস অন্তরও যদি পরিদর্শনের সুযোগ না থাকে তাহলে অনুমোদনের কর্তৃত্ব হাতে রাখার এত গরজ কেন? রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে নিপসম-এর অভিযোগের পাত্তা দেয়নি জনস্বাস্থ অধিদপ্তর।নমুনা পরীক্ষায় টাকা নেয়া এবং নমুনা সরবরাহে নিপসমের নির্দেশিকা অনুসরণ না করার অনিয়ম নিয়ে নিপসম নাকি স্বাস্থ অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলো, স্বাস্থ অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়েই আগের মতো তাদের কাছ থেকে নমুনা গ্রহণের জন্য প্রত্যুত্তরে নিপসমকে নির্দেশ প্রদান করে।ঘটনাটি সত্য হলে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির সাথে স্বাস্থ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের যোগোযোগ থাকা অসম্ভব কিছু নয়।অন্যদিকে ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক হওয়া সত্বেও তিনি একই সাথে কিভাবে জেকেজির চেয়ারম্যান থাকলেন তাও স্পষ্ট নয়।
মানুষ সুযোগ পেলেই দুর্নীতি করার ছিদ্রান্বেষণ করতে থাকে।ঢেউ গুণে ঘুষ খাওয়ার প্রবাদ-প্রবচন এমনি এমনি তৈরি হয়নি।ভুয়া সার্টিফিকেট ইস্যুর টাকা নিশ্চয়ই শুধু রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ বা জেকেজি’র চেয়ারম্যান ডা: সাবরিনার স্বামীর পকেটে যায়নি, দুর্নীতির টাকা একা হজম করা যায় না, ভাগ বাটোয়ারা করে খেতে হয়।শাহেদের জনপ্রিয়তা দেখলে অবাক হতে হয়, রাষ্ট্রের প্রায় সকল প্রভাবশালীদের সাথে তার ছবি আছে।প্রভাবশালীগণ দুর্নীতি করেন প্রভাব প্রতিপত্তি টিকিয়ে রাখার জন্য, জীবনকে উপভোগ করার জন্য, আর গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করার জন্য।আজকাল অনেক আমলা চাকুরী থেকে অবসর নিয়েই রাজনীতিতে যোগ দেন, আর নির্বাচন করলেই টাকা লাগে।এক টাকা দুই টাকা নয়, কোটি কোটি টাকা।মনোনয়ন নেয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন শেষ করা পর্যন্ত প্রত্যেক প্রার্থীকে দুই হাতে টাকা খরচ করতে হয়।মাদ্রাসা, মসজিদ, মক্তব, মন্দিরে অনুদান না দিয়ে কোন প্রার্থী মওকুফ পেয়েছে বলে মনে হয় না।টাকা থাকলে মনোনয়ন পাওয়া সহজ, নির্বাচনে জেতা সুগম হয়।কারণ ভোটারদের মধ্যেও অনেকেই দুর্নীতিবাজ, নগদ পাওয়ার সুযোগ কেউ হারাতে চায় না।সম্ভবত একই কারণে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদেরও টাকা দরকার ছিলো, টাকা হাতে আসার সাথে সাথে তিনি জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন।টাকা থাকলেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অদম্য বাসনা অনেকের মনে জাগ্রত হয়।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আবার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষক’ অভিধায় তিনি টকশোতে ন্যায়-নীতির কথা বলতেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশংসা করতেন। টক-শোতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে এই লোকটি অপকর্ম করার ক্ষেত্র তৈরি করেছিলো সত্য, কিন্তু তার বিরুদ্ধে একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও শোনা যায়, বিএনপি’র কমপক্ষে দুই জন জাঁদরেল নেতার সাথেও তার ছবি দেখা যায়।দুর্বৃত্তায়নে জড়িতরা সব দলের সাথেই লেগে থাকে।টক-শোর কুশলিবদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, বাংলাদেশে এই গ্রুপই একমাত্র পুতপবিত্র, এই গ্রুপ ব্যতীত আর সবার মন ও দেহ কালিমায় ভরা, এই গ্রুপের লোকজন বা তাদের পরিবারের কেউ ঘুষ খায় না, দুর্নীতি করে না, অপরাধ করে না।দুর্নীতিবাজদের অনেকে শাহেদের মতো টক-শোতে নীতি কথা বলেন, কাড়ি কাড়ি সদুপোদেশ দেন।এই লোকগুলোর উপদেশ শুনতে হয় বলে সৎ লোকেরা এখন আর টক-শো দেখেও না, শোনেও না।রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমের মতো লোকদের মিডিয়া কেন ডাকে- নিশ্চয়ই এর মধ্যেও কোন রহস্য রয়েছে।রহস্য উদঘাটনে আমরা যাব না, বাহ্যত যা প্রতীয়মান হয়েছে তা হলো, আমলা, পুলিশ, সেনা-কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের পাশে বা পেছনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবিগুলো তাকে টক-শো’র জন্য নির্বাচনে সহায়তা করেছে।শাহেদ আবার ধর্মকর্মও করেন; কৃত অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রত্যাশায় ময়মনসিংহ থেকে মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই ছাত্রকে এনে হাসপাতালে কোরআন খতমের ব্যবস্থাও করা হয়েছিলো।শাহেদসহ সব অপরাধী জানে ধর্মের যথাযথ আবরণ দেয়া সম্ভব হলে কোন অপরাধই আর সমাজের চোখে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় না।
শাহেদ ছবি তোলার জন্য উন্মাদ ছিলো তার ব্যবসার জন্য; এক্ষেত্রে শাহেদের সাথের লোকদের অপরাধী করা শ্রেয় হবে না, কারণ কেউ ছবি তোলার আগ্রহ দেখালে তাকে নিষেধ করা যায় না।কিন্তু শাহেদ এমন সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের অনুমতি কিভাবে পেল তা অনুসন্ধানের বিষয়।অন্যদিকে অনেককে তার সাথে ছবি তোলে তৃপ্তির হাসি দিতেও দেখা গেছে, বিশেষ করে তার সাথে সাংবাদিকদের ছবি তোলার ছ্যাবলামি হাসির উদ্রেক করে।সাংবাদিক একটি সন্মানজনক পেশা, দাওয়াত পেলেই বাছবিচার ছাড়া কেন তারা যে কোন স্থানে ছুটে যান তার রহস্য ভেদ করা কঠিন না হলেও কেউ তা করবে না।কারণ সাংবাদিকেরা নিজেদের স্বার্থে আবার একতাবদ্ধ এবং শক্তিশালী; ইচ্ছে করলেই তারা শাহেদের মতো লোকদের ভাসিয়ে দিতে পারেন, আবার বনিবনা না হলে ডুবিয়েও দিতে পারেন।আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মা'র করুণ মৃত্যু শাহেদকে এই রিজেন্ট হাসপাতাল গড়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে বলে এক রিপোর্টারের প্রতিবেদনে লক্ষ্য করলাম।একই প্রতিবেদনে দু:স্থ ও গরীব রোগীদের শুধু কম খরচে চিকিৎসা দিতে গিয়ে শাহেদকে ৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।এই সাংবাদিকগণ এখন ভোল পাল্টিয়ে ফেলেছেন, সব মিডিয়া এখন হন্যে হয়ে শাহেদের অপকর্মের পেছনে ঘুরছে, শাহেদ অতীতে কী কী অপরাধ করেছে, কয়টি মামলার আসামি ছিলো, কয়বার জেল খেটেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।ডা: সাবরিনার বিভিন্ন পোজের ব্যক্তিগত ছবিও মিডিয়া আগ্রহ সহকারে প্রকাশ করছে।ডাক্তার সাবরিনা অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন, কিন্তু তাই বলে তার বিভিন্ন পোজে তোলা ছবির কদর্য সমালোচনা সততার পরিচায়ক বলে মনে হয় না।মিডিয়ার এমন সমালোচকদের মধ্যে ওয়াজী হুজুরদের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। শাহেদের সাথে আবেগায়িত ব্যক্তিদের তোলা ছবির চেয়ে সাবরিনার বিভিন্ন পোজের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত ছবিগুলো অনেক বেশী শালীন।
স্বাস্থ অধিদফতরের অবহেলা ও অদক্ষতা ক্ষমার অযোগ্য।স্বাস্থ অধিদফতরের অযোগ্যতার জন্য সরকারের সব অর্জন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সরকারের ভাবমূর্তি মলিন হচ্ছে।চিকিৎসা সেবার সুবিধার্থে সরকার রিজেন্ট হাসপাতালে তাদের একজন ডাক্তারকেও নিয়োগ দিয়েছিলো, কিন্তু সেই ডাক্তার পনের দিনের বেশী কেন ওখানে কাজ করতে পারলো না তা খতিয়ে দেখার জ্ঞান, বুদ্ধি জনস্বাস্থ অধিদপ্তরের নেই এই কথাটি কেউ বিশ্বাস করবে না।করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা, সুরক্ষা সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও বিতরণ নিয়ে অভিযোগের কমতি নেই।দেশে এতগুলো পরীক্ষাগার স্থাপনের পরও কয়েক দিনের নমুনা অপরীক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে পেতে হয় রোগী সুস্থ হয়ে যায়, নতুবা মারা যায়।পরীক্ষা ও পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য প্রতিদিন রোগের উপসর্গ নিয়ে শত শত লোক প্রখর রোদে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অনেকে কাহিল হয়ে ফুটপাতে ঘুমিয়ে পড়ে।এই দুরবস্থায় এখন অনেক রোগী অসদুপায় অবলম্বন করে সরকারি হাসপাতালের পিয়ন, দারোয়ান বা ল্যাবরটরির লোকদের সাথে যোগাযোগ করে গোপনে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, সব অপরাধের উদঘাটন সরকারই করছে এবং সরকারই সকল অপরাধীকে ধরছে।আমরাও বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্রয় থাকলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সমাজের নানাবিধ অপরাধের উন্মোচন হতো না।কারণ অতীতেও এমন অপরাধ কম হয়নি, কিন্তু সেই অপরাধীরা ধরা পড়েছে তত্ত্বাবধায়ক বা বিপক্ষ দলের সরকারে আমলে।আওয়ামী লীগ তো বহুদিন ধরে একনাগাড়ে ক্ষমতায়, কিন্তু তাদের নেতাদের পরিপক্কতার অভাবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীদের বারবার কেন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য তের বছর লাগার কথা নয়।বাবার অপকীর্তির জন্য শাহেদের স্ত্রী ও কিশোরী মেয়েটি বিব্রত হয়েছে।বাবা বোরকা পরে পালাচ্ছে, গ্রেফতারের পর বাবাকে কেউ একজন মারছে- এমন দৃশ্য যে কোন সন্তানের জন্য পীড়াদায়ক।সন্তানের কাছে বাবার ছোট হওয়ার মতো জঘন্য শাস্তি আর কিছু থাকতে পারে না।সরকারের তরফ থেকে অপরাধীকে চিহ্নিত করার পর বিরোধী দল, সাংবাদিক, চোর, ডাকাত, বাটপার সবাই তার অপকীর্তির ফিরিস্তি দিচ্ছে, চোরও তাকে এখন চোর বলছে।সরকারের আবেগায়িত ও অদূরদর্শী ঘোষণা অনুযায়ী প্রণোদনার টাকা তোলার জন্য কতজন চাকুরিজীবী ভুয়া সার্টিফিকেটের জন্য তাদের পেছনে ঘুরেছেন তার তালিকা থাকা দরকার।শাহেদ যাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন বা যারা তার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য উদ্গ্রীব ছিলেন তারা কেউ আজ আর তাকে চেনেন না; খোলস পাল্টাতে সাপেরও অনেক সময় লাগে, কিন্তু মানুষের ভোল পাল্টাতে এক সেকেন্ডও লাগে না।
লেখক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী
পরিচালক ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ahmedzeauddin0@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.