অবন্তিকা ❑ উপন্যাস ❑ কিশোর পণ্ডিত ❑ পর্ব ১১
উপন্যাস
অবন্তিকা
কিশোর
পণ্ডিত
পন্ডিত মশাইয়ের বার অংকের অবন্তিকায় ১০০ পৃষ্ঠা ছিল । অবন্তি পড়েছিল অর্ধেক । বাসায় ফিরেই আগ্রহ হল বাকী পৃষ্ঠায় সে কি লিখেছে । সে বই পড়তে বসে পড়ল । সাত অংকের শুরুতে আছে অবন্তিকার পরিচয় । অহিংস রায় ছিল পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পক্ষের সিপাহী তার স্ত্রীর নাম মহলয়া দেবী । যুদ্ধে পরাজয়ের পর পরাজিত সৈনিক মহালয়া দেবীকে নিয়ে পালিয়ে আসে পাবনায় । সেই থেকেই তাদের পাবনায় বসবাস । বংশ পরস্পরায় অহিংস রায়ের প্রপৌত্রগণের মধ্যে একজন নৃপেন্দ্র নারায়ন । নৃপেন্দ্র নারায়নের পুত্র কেশব রায় । কেশব ভালবাসত প্রীতিলতা রায় কে । কিন্ত প্রীতিলতা তাকে ভালবাসত না । সে ভালবাসত বিমল রায়কে । বিমল ছিল তার সমগ্র আশার আশা প্রাণের ভালবাসা । বিমলকে ছাড়া তার চলবে না । এ পণ করে প্রীতিলতা আশায় বুক বেঁধেছিল । তার স্বপ্নের ঘর বিমলকে নিয়েই হবে । এ কথা সবাই জানত । কেশব রায়ও জানত । তবুও সে আশায় ছিল । জীবন দিয়ে ভালবাসত প্রীতিকে । সে তার ভালবাসার কথা প্রীতিলতাকে বহুবার বলেছিল । কিন্তু প্রীতি তার কথায় রাজী হয়নি । তারপর কেশব রায় নিঃস্বার্থভাবে মনে মনে ভালবেসে যায় প্রীতিলতা রায়কে ।
একদিন স্বাধীনতার ডাক আসে । সে ডাকে সাড়া দেয় কেশব রায় ও বিমল রায় । একসাথে যােগ দেয় মুক্তিযুদ্ধে । যুদ্ধ চলাকালে বিমল রায় একদিন দেখা করতে আসে প্রীতিলতার বাড়ীতে । প্রীতিলতার বাবা সুরেশ রায় ছিলেন স্থানীয় স্কুল মাষ্টার । গােপনে তিনি মুক্তিযােদ্ধাদের সাহায্য করতেন । সে রাতে সুরেশ রায় পাহারা দেয় তাদের । মাঝরাতে কিসের জানি একটা শব্দ শুনে সে দিকে ছুটে যান সুরেশ রায় । এগিয়ে দেখেন পাক হানাদার বাহিনী ও এক রাজাকারকে । স্থানীয় রাজাকারকে চিনতে পারেন তিনি । তারা তাকে বিমলের কথা জিজ্ঞাসা করে । জবাবে তিনি না করেন । কিন্তু তারা বিশ্বাস করে না । তারা খোঁজ নিয়েই এসেছে বুঝতে পারেন সুরেশ রায় । তাই তিনি চিৎকার দিয়ে বিমলকে পালিয়ে যেতে বলেন । বিমল পালিয়ে যায় । পরে প্রীতিলতার সামনেই হত্যা করা হয় তার বাবাকে । উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রীতিলতাকে । সেই দিন থেকেই প্রীতিলতা থেকে যায় হানাদারদের নিত্যদিনের পাশবিক অত্যাচারে পাক হানাদারদের ক্যাম্পে ।
'৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সূর্য উঠার কিছু আগেই কেশবরায়ের ক্যাম্পে সকল মুক্তিযােদ্ধারা যার যার বাড়ী ফিরে । উদয় দাস নামের কেশবের এক বন্ধু তার বােনকে বিহারী ক্যাম্প থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যায় । তার অনুরােধে কেশবও সেখানে যায় । সে গিয়ে দেখা পায় প্রীতিলতার । প্রীতিলতার সর্বনাশ দেখে নিজ চোখে । রাগে ও অনুরাগে তার চোখে জল আসে । স্থির নয়নে চেয়ে থাকে প্রীতিলতার দিকে । প্রীতিলতা তাকে দেখে কেঁদে উঠে । কেশব রায় প্রীতিলতাকে তার সঙ্গে নিয়ে যায় । কার বাড়ীতে উঠবে কেশব । প্রীতিলতাদের বাড়ীতে কেউ ছিল না । কেশব রায়ের বাড়ীতে শুধু তার কাকা বেঁচে ছিল । তাকে কাছে পেয়ে তার কাকা খুব খুশী হলেন । তার বুদ্ধিতেই প্রীতিলতাকেও তাদের বাড়ী রাখা হল । ৫ ই জানুয়ারি ১৯৭২ সালে কেশব রায় একটি খবর দেয় প্রীতিলতাকে । প্রীতিই জানতে চেয়েছিল বিমল রায়ের কথা । উত্তরে কেশব রায় আর কিছু গােপন না করে সত্যি কথা বলে দেয় যে কবে কখন কিভাবে বিমল রায় মারা যায় । ডিসেম্বরের ১০ তারিখ খুব প্রত্যুষে তারা যখন হানাদারদের ক্যাম্পে আক্রমণ করতে যায় সেদিনকার যুদ্ধেই বিমল রায় মারা যায় । অবশ্য সে যুদ্ধে তারা জয়ী হয়েছিল । এ খবর শােনার পর প্রীতিলতা দুদিন কারাে সাথে কোন কথা বলে নাই । ৩য় রাত্রে অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রীতিকে পাওয়া যাচ্ছিল না । পরে ভাের রাতে অর্ধমৃত অবস্থায় কেশব রায় তাকে উদ্ধার করে । সে রাতে সে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল । অনেক চেষ্টা এবং চিকিৎসার পর প্রীতিলতা সুস্থ হয়ে উঠে ।
প্রীতি সুস্থ হওয়ার পর কেশব রায়ের কাকাকে কেশব বলে যে সে প্রীতিকে বিয়ে করতে চায়, কিন্তু তার কাকা কোন মতেই এ প্রস্তাবে রাজী হননি । তিনি বলেন যে মেয়েটি যতদিন ইচ্ছে ততদিন এবাড়ীতে থাকুক । কিন্তু তাকে বউ করি কিভাবে । কেশব রায় তাকে মেয়েটির সব দুঃখের কথা এবং দুর্ভাগ্যের কথা বুঝায় । সে বলে যে তবে এ অসহায় মেয়েটি কোথায় যাবে কি করবে । অনেক বােঝানাের পর তার কাকা রাজী হয় । কেশব রায়ের কাকাই প্রথমে এ প্রস্তাব দেয় প্রীতিলতাকে । কিন্তু প্রীতিলতা এ কথায় রাজী হয় না । প্রীতিলতা বলে যে সে তাকে দয়া করতে চায় । সে কারাে দয়া বা করুণা ভিক্ষা চায় না । সে বাঁচতেও চায় না । সে এদেহ আর রাখবেনা সে মরতে চায় । পরে কেশব রায় তার ভালবাসার দোহাই দেয় । সে বলে যে সে কোন দয়া বা করুণা করতে চায় না । সে যা করতে চাচ্ছে তা শুধু তার ভালবাসার কারণে । কেশব রায় বলে যে , আমি জানি তুমি বিমলকে ভালবাসতে কিন্তু আমিও তােমাকে ভালবাসি । আজ বিমল নেই অবস্থা ও পরিবেশ আমাদের বিপক্ষে । তাই আমার ভালবাসা যদি সত্য হয় তবে আমার সত্য ভালবাসার দোহাই দিয়ে আমি তােমাকে বিয়ে করতে চাই । এ কোন করুণা নয় এ কোন দয়া নয় । এ শুধু আমার ভালবাসার টান । আমার ইচ্ছা । আমার এতদিনের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়া । বর্তমান পরিস্থিতি তার ভাগ্য এবং কেশব রায়ের ভালবাসার টানে দুর্বল হয়ে যায় প্রীতি । অবশেষে ১৯৭২ সালের ১০ ই জানুয়ারী তাদের বিয়ে হয় ।
বিয়ের পর তাদের অভাবের সংসার অভাবে অভাবে কাটতেছিল । কিন্তু '৭৪ এর দিকে তাদের মহা অভাব আক্রমণ করল । আসলে তারা কোন দিন অভাবী ছিল না । যুদ্ধের সময় সর্বস্ব হারিয়েছে । শুধু বাড়ী ভিটে টুকু ছাড়া তাদের আর কিছুই ছিল না । শেষে '৭৪ এ তারা শেষ সম্বল বাড়ী ভিটা বিক্রি করে কিছু দিন চলে । পরে সকল সহায় সম্বল চলে গেলে তারা ভাসতে ভাসতে বিহারপুরে এসে আশ্রয় নেয় । সেখানে এসে তাদের দেখা হয় বীরেশ্বরের বিধবা বউ যুথিকার সাথে । তখন পার্থের জন্ম হয়েছে । যুথিকা তাদের সকল দুঃখের কথা শুনে ওখানেই তাদের থাকতে বলে । সেখানেই কেশব রায় প্রীতিলতাকে নিয়ে দুঃখীদের সাথে বসবাস করতে থাকে । নিত্যদিন বিভিন্ন ধরনের কাজ করে কেশব । কখনাে ঠেলা গাড়ি চালায় । কখনাে কুলিগিরি করে । এভাবে শ্রম বিক্রি করে দুর্বল হয়ে পরে সে । মানুষের কাছে হাত পাততে হয় তাকে । অবশেষে '৭৫ এর কোন এক মাসে কি এক দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে সে মারা যায় । সেদিন সন্ধ্যায় অবন্তিকার জন্ম হয় । ঐ দিনই যুথিকা জন্ম এবং মৃত্যুর পরম বাস্তবতা লক্ষ্য করে । একদিকে কেশব রায়ের মৃত্যু যন্ত্রণা অন্যদিকে প্রীতিলতার জন্মদানের ব্যথা । একদিকে জন্ম অন্যদিকে মৃত্যু । কি বাস্তব সত্যের খেলা দেখে সে । যখন যুথিকার চিন্তা ছিল শুধু তার পার্থের জন্য সেখানে যােগ হল অবন্তিকার চিন্তা । অভাব এবং দুঃখ কষ্টের সাথে ঘর বাঁধে তারা । দুঃখের সাথে যুদ্ধ করতে থাকে দুই বিধৰা । একজন মুক্তিযােদ্ধার স্ত্রী আরেকজন বীরাঙ্গনা ।
মাঝরাতে অবন্তিকা চৌধুরী পড়া থামায় । চোখে জল আসে । বুক ভেসে যায় । আর কি লিখেছে পার্থ বইটিতে তার । আজ রাতেই শেষ করতে চাই । আবার পড়া শুরু করে । পার্থ লিখেছে অবন্তিকা হয়ে যায় তার খেলার সাথী । সারাদিন তারা খেলে বেড়ায় নিজ বাড়ীতে । আবার কখনাে পারঘাটীতে বড় বটগাছটার নিচে । জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে তাদের বড় বটগাছটির তলায় । নদী সাঁতরিয়ে ওপারে চলে গেছে তারা । ওপারের সরষে ক্ষেতে সরষে ফুল তুলেছে । তুলসী গঙ্গার উপর ব্রীজটির উপরে তারা কত দৌড়িয়েছে । কখনাে একটু বড় হলে পার্থই অবন্তিকাকে নিয়ে রেল লাইনে নিয়ে গেছে । এভাবে খেলতে খেলতে তারা যৌবনে আসে । তারা হয়ে যায় যুবক যুবতী । যৌবন আসে পার্থের । যৌবন আসে অবন্তিকার । পার্থকে নতুন করে ভাল লাগে তার । ভাললাগা থেকে সে ভালবেসে ফেলে পার্থকে । তখন থেকেই অবন্তিকা বসে থাকে পার্থের আশায় । পার্থর হাঁটা চলা , কথাবার্তার দিকেই শুধু চেয়ে থাকে অবন্তিকা । নতুন করে ভাললাগে বিহারপুরের নদী আর জল ফল আর ফসলকে । অবন্তিকার দেহে আর মনে আসে নতুন এক পরশ নতুন এক উদ্যমের আর্বিভাব । একদিন পার্থ কোন কাজে শান্তাহার গিয়েছিল । কাজ শেষে বাড়ী আসতে সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল । অবন্তিকা সেদিন আর খায়নি সে শুধু তার পথ পানে চেয়েছিল । যখন সে সন্ধ্যায় আসছিল পার্থ দেখেছিল তখনাে অবন্তিকা রাস্তায় তার পথপানে চেয়ে আছে । কাছে আসতেই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল । জিজ্ঞাসা করল নানা কথা । কোথায় গিয়েছিল কেন গিয়েছিল , এত দেরী কেন নানা কথা । অবন্তিকা তাকে ভালবাসত এ কথা সে বুঝত তাই বলে অবন্তিকা এ কথা তাকে মুখে কোন দিন বলেনি । কিন্তু পার্থের মন ছিল উদাস উদাস কোথায় যেন তার মন বাঁধা ছিল । সে ভালবাসতে পারেনি অবন্তিকাকে । এ কথা সে অবন্তিকাকে বুঝাতে চেয়েছে এড়িয়ে গেছে বহুবার কিন্তু অবন্তিকা বুঝতে চায়নি ।
একদিন অভাব তাড়াতে যুথিকাই নিজে পার্থকে শহরে যেতে বলে ছিল । তাদের সাধ্যমতে যে টুকু বিদ্যা তাদের শিখিয়েছিল এ বিদ্যার জোরে যদি কোন চাকুরী পাওয়া যায় তাহলে তাদের অভাব কাটবে । পার্থ প্রথমে শহরে যেতে চায়নি । গ্রামেই মাটির সাথে যুদ্ধ করে চলতে চেয়েছিল সে । শেষে যুথিকার ইচ্ছায় আর প্রীতিলতার সাহসে ঢাকা যায় সে । সে লিখেছে সেখানে গিয়ে সে একমরীচিকার মায়ায় পরে । ভাব জাগে এক নতুন ভাবের । জন্ম নেয় এক নতুন আশা । ভালবেসে ফেলে এক রাজকুমারীকে । যা তার সাধ্য না , যা তার উচিত ছিল না , যা তার বাধ্য ছিল না , যা তার অতি উৎসাহ ছিল । ঐ রকম একটা অনুচিত কাজ করে মনে রাজ্য জয়ের বাসা বাঁধে , রাজকুমারীকে বস করতে চায় । মরীচিকায় বাসা বাঁধে সে । যা সম্ভব নয় একরম অসম্ভব কাজ ঘটাতে চায় সে । যার ফল হয় বাস্তব । যে ডাল ধরতে গিয়েছিল সে ডাল ভেঙ্গে যায় । পথিক তার পথ হারায় । নৌকার পাল ছিড়ে যায় ঝড়ে। হাল ভেঙ্গে যায় । হাল ছাড়া নৌকা এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে । পার্থের আশা ভেঙ্গে যায় । দুরাশা উৎসাহিত করে নিরাশাকে । পার্থ পতিত হয় স্বর্গ থেকে মর্তে । ভালবাসা পরিণত হয় জ্বালায় ,অতিকষ্টের আর দুঃখের । ফিরে আসে গ্রামে নিজ বাসভূমে । ভূলে যেতে চায় দুঃখ । ভুলে যেতে চায় ভালবাসার যন্ত্রণা । কিন্তু কিছুতেই ভুলতে পারে না সে । অবশেষে দুই অভাগিনী বিধবা মায়ের আশা পুরণ করতে এবং অবন্তিকাকে অবন্তিকা চৌধুরী করে পেতে বিয়ে করে অবন্তিকাকে । অবন্তিকা মনে করে তার ভালবাসার বুঝি জয় হল । বিয়ের রাতে গর্ব করে অবন্তিকা তার ভালবাসার জয়ের ব্যাখ্যা করে । পার্থ বাঁধা দেয় তাকে । খুলে বলে সব । এমনের প্রাণ অন্য জায়গায় ফেলে রেখে এসেছে । এ দেহে মন প্রাণ কিছুই নেই শুধু শূন্য দেহ শূন্য এ বুক । ভিতরে শুধু হাহাকার । এর জবাব চায় না অবন্তিকা । সে প্রশ্ন করে না তবে কেন সে তাকে বিয়ে করেছে । শুধু দু'চোখের জলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে পার্থের দিকে ।
অবন্তি বই পড়া শেষ করে । তাহলে আমার কথাও তাকে বলেছিল পার্থ ,ভাবে অবন্তি। বইটি বন্ধ করে সে । বন্ধ করার সময় দুই ফোটা চোখের জল বইতে পরে । কি যেন ভেবে অবন্তি তা আঁচল দিয়ে মুছে দেয় । ভাবে গ্রামের অবন্তিকাদের কথা । কি পেল সে । চিরদিন শুধু দুঃখের সাথে ঘর করেছে । জন্ম থেকেই শুধু দুঃখ আর কষ্ট । ভালবাসা টুকুও পায়নি সে । শেষে মন্ত্র পড়ে যাও নিরস পার্থকে স্বামী রূপে পেয়েছিল তাও হারাল । মনে পড়ে দুই বিধবার কথা একজন মুক্তিযােদ্ধার স্ত্রী অন্যজন মুক্তিযােদ্ধার স্ত্রী ও বীরাঙ্গনা । তাদের কে ঠকাল ভগবান ! তাদের ভাগ্যে ! নাকি এদেশের মানুষ ! না এ দেশ ! কখনাে ভাবে তাদের জন্য কিছু একটা করা দরকার । কি করবে সে । কোন জিনিস দিলে তাদের দুঃখ ঘুচবে । কি দেওয়ার আছে তাদের । এমন জিনিস আছে যা দিয়ে তাদের দুঃখ ঘুচানো যায় । টাকা দিয়ে , এখন আর তাদের কি আশা আছে যে টাকা দিয়ে মিটানাে যায় । আমরা কি ফিরিয়ে দিতে পারবো তাদের স্বামীদের । অবন্তিকার পার্থকে । দু'জন বয়স্কা বিধবা একজন সদ্য বিধবাকে পারবে কি সামলাতে পারবে তারা চলতে ও চালাতে । তারা কি কোন পক্ষের ! না, তারা স্বপক্ষেরও নয় আবার বিপক্ষেরও নয় । তারা আমাদের সকলের । তারা এদেশের ইতিহাস । তারা এদেশের স্বাধীনতা । এদেশের জনগণ । তারাই বাংলাদেশ । তাদের কিছু দিতে হবে না । শুধু আমাদের দেশপ্রেমীক হতে হবে । তাহলেই তারা তুষ্ট হবে ।
চলবে ........
No comments