ভূতের রাজ্য বন্দি জীবন _ রুপালী আক্তার
ভূতের রাজ্য বন্দি জীবন
পর্বঃ ১
হিমু সহজ সরল কুমলমতী একটি মেয়ে তার চেহেরার চেয়ে মনটা ভীষণ সুন্দর। রুপবতী,গুণবতী এবং ভাগ্যবতী।সবাই তার প্রশংসা করে।অতি সুন্দর তার আচার ব্যবহার ও চলাফেরার ধরণ।এক কথায় বলতে গেলে গুণের অভাব নেই।
মিষ্টি ভাষী একটি মেয়ে।
স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।ভালো ভাবেই তার দিন কাটতে লাগলো।
হঠাৎ করে তাকে কোন এক অদৃশ্য শক্তি তাকে আঁকড়ে ধরে ফেললো।তখন থেকেই নামতে শুরু হল তার করুণ দশা।
তার অনেক স্বপ্ন ছিল পড়া লেখা শেষ করে ভালো একটা চাকরি করবে।
আস্তে আস্তে তার স্বপ্ন গুলো ধূলিসাত্ হতে লাগলো।
পড়ার ইচ্ছা থাকলেও পড়তে পারে না। ঐ অদৃশ্য নামক শক্তি গুলো ভালো কিছু সহ্য করতে পারে না এবং নামাজ টাও পড়তে দেয় না। শুধুই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে যাচ্ছে।কাউকে কিছুই বলতেও পারে না সহ্য ও করতে পারে না।একদিন রাতে হিমু টয়লেটে গেছে এমণ সময় ভূত গুলো করলো কি!সব কিছু অন্ধকার করে ফেললো।রাত ৩ টা বাজে তখন।বেচারি কি করবে চিৎকারও দিতে পারে না।সাহস করে অন্ধকারের মধ্যই নিজের ঘরে এসে পরলো।এক দল ভূত গুলো তার ভিতরেই বসবাস করতে লাগলো।
এভাবেই কষ্টে দিন কেটে যাচ্ছে।রাত নেই দিন নেই এভাবেই প্রতিটা মুহূর্ত অত্যাচার করে যাচ্ছে নব পিশাচ গুলো।হিমু যদি শুয়ে চক্ষু দুটো বন্ধ করে তখনই তার শরীরে বর করে।
এবং খুব ভয় দেখায়।চক্ষের মধ্যে সব গুলো দাঁত বের করে খিলখিল করে হাসে এবং ব্যঙ্গাত্বক ভাবে চাহনিতে তাকায় একটু ও পলক ফেলে না।
শরীরে আসলে সে কোন কথা বলতে পারে না।তার মনে হয় তার শরীরে পাহাড় সমান বুঝা দিয়ে রেখেছে।মাঝে মাঝে গলা চেপে মেরেও ফেলতে নেয়।হিমু প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচি করে কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস তার কথা কেউ সহজেই শুনতে পারে না।যখন শুনে তখন তার বাবা মা তাদের কাছে নিয়ে রাখে।এভাবেই একটি বছর কেটে যায়।ভেতরের কষ্ট গুলো চেপে রেখেই দিন গুলো পারি দিতে থাকে।জীবনের প্রতি মায়া নেই এখন তার। আনমনা হয়ে থাকে সারাক্ষণ। ভূত গুলো এমণ দুষ্ট যে কালেমা ও দোয়া কোন কিছুই পরতে দেয় না।যখন ঘুমাতে যায় তখন দোয়া কালেমা পরতে থাকে কিন্তু বেশিক্ষণ পড়তে পারে না অবশেষে হেরে যায় অদৃশ্য শক্তির কাছে।হিমু কে রাতেও ঘুমাতে দেয় না।
এমন অনেক রাত আছে যে সে না ঘুমিয়ে অন্ধকারে বসে বসে কান্নাকাটি করেই সারারাত কাটিয়ে দিয়েছে। এখন সারারাত জেগে থাকে আর মহান আল্লাহ্ তালার কাছে প্রার্থনা করে গুমরে গুমরে কেঁদে যায় সারারাত।
তার
রুপালী আক্তার
No comments