Header Ads

নৈতিক বিপর্যয় ও কিছু কথা


নৈতিক বিপর্যয় ও কিছু কথা

সভ্যতার চরম উন্নতির সোপানে দাঁড়িয়ে আজো মানবতা কাঁদে নীরবে।এই নিখিল ধরায় কী সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা, আমরা সেই পৃথিবীর সকল সৃষ্টির সেরা মানুষ। মান + হুঁশ থেকে মানুষ হয়েছে। অন্যান্য জীবের মত মানুষের ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে, অবোধ জীবের ও বোধ আছে। কিন্তু মানুষের বোধের মত না, এই সব গুলি জায়গায় সাদৃশ্য থাকলে ও একটি স্পেশালিটির জন্য মানুষ সৃষ্টির সেরা। সেটা হচ্ছে বিবেক, যা অন্যান্য জীবের মধ্যে নেই।

তাহলে আমরা মানুষেরা কি সেই বিবেক বোধে জাগ্রত আছি? উত্তর হবে কিছু মানুষের বিবেকহীনতার কারণে বিবেকবান মানুষের ওপর কলন্কের কালিমা লেপে দেয়। একটু যদি চিন্তা করি তাহলে বুঝতে অসুবিধা হবেনা। সভ্যতার বিকাশে আজ ইন্টারনেটের কারণে বিশ্ব এখন হাতের মুটোয়। পলকে পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে ও প্রান্তে খবর পৌছে যায়। এই সুফলগুলো ব্যবহারে কতটুকু আমরা ভারসাম্য রাখতে পেরেছি? নেটের যুগে ও করোনা মহামারীতে আজ মোবাইলে সবাই বুঁদ হয়ে আছি। এই থাকাটা যদি ভালো অর্থে ব্যবহার করতে পারি তাহলে তো আশীর্বাদ আর মন্দের জন্য ব্যবহার করলে তা অভিশাপ।

এই অস্থির সময়ে ভারসাম্য রেখে চলাচল খুবই জ্বরুরী। প্রত্যেকটা পরিবারের অভিভাবক সহ সকল সদস্যদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব কর্তব্যে অবহেলার কারণে আজ এত অধঃপতন কিছু মানুষের। নৈতিকতার শিক্ষাটা পরিবারেই দিতে হয়। ছেলে মেয়েদেরকে সঠিক শিক্ষা দিতে পারলে বড় হয়ে কোন অন্যায় কাজ করতে তিনবার চিন্তা করবে। সেই নৈতিকতার অভাবেই আজ এত অন্যায় অনাচার ঘটেই যাচ্ছে। আর কত অঘঠন ঘটবে? কতদিন এভাবে নির্লজ্জ বেহায়াদের লালসার শিকার হবে নারীরা? চরিত্রের কতটুকু ঙ্খলন হলেই এমন ধিকৃত জঘন্য পাপ করতে পারে? যুগে যুগে মানবতার বিকাশের সাথে সাথে মানবতার ধ্বসটুকু যেন বেশি। ঐ কুলাঙ্গার ছেলেরা নাকি কলেজে পড়ে? যাদের বিকৃত রুচি থেকে একজন নারী তার স্বামীর সম্মুখেই সম্ভ্রব হারাতে হলো? লজ্জ্যা লজ্জ্যা লজ্জ্যা !

হে যুবকেরা, তোমরা না আলোর দিশারী? তোমাদের হাতে জাতির ভবিষ্যত! এই কি সেই আলোর দিশারীদের কাজ? আজ ভাবতে ও ঘৃণা হচ্ছে শিক্ষিত নামধারী দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীটে পড়াশোনা করে ও যে জঘন্য কাজ করলো তাদের জন্য শুধু ঘৃনা। একজন নারী সে প্রথমে একজন মা, যার গর্ভে লালন হয় পৃথিবীর প্রজন্ম। পরে সে একজন বোন, খালা, ফুফু, বন্ধু এবং সর্বোপরি জীবনচলার সাথী।যুগে যুগে নারীদেরকে অবমাননা করা হয়েছিল।একটু পেছনে গেলে পরিস্কার হয়ে যাবে যে আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে নারীদের কোন মর্যাদা ছিল না, তখন হযরত মুহম্মদ সঃ প্রথম নারীদের সম্মান দিলেন। সেই থেকে নারীদের মুক্তির পথ উন্মুক্ত হলো টিকই কিন্তু কিছু কুচক্রীদের হাতে নারীরা লাঞ্চিত হতেই থাকলে।নারীদেরকে সম্মান দিলে পুরুষদের সম্মানটুকু বাড়তেই থাকবে। নিজের মা বোন বা স্ত্রীর সাথে কি অসম আচরণ করা যায়?
আজ আমাদের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় হয়েছে বলে সমাজে এত অশান্তি , এত অনাচার! আমি বলতে চাই প্রিয় অভিভাবকগন আপনার সন্তানকে প্রকৃত মানুষ হবার শিক্ষা পরিবার হতেই দিন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যেমন দরকার আছে তেমনি নৈতিক শিক্ষাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই নৈতিক শিক্ষাটা অভিভাবক আপনিই দিবেন ছোটবেলায় আপনার সন্তানকে। তাহলে বড় হয়ে সন্তান আপনার সম্মান ডুবাতে পারবেনা।

এই যে সমাজে কিছু বখাটে কুলাঙারদের আবির্ভাব, তারা ও তো কোন অভিভাবকের/ পিতা মাতার সন্তান। সন্তানের প্রতি আপনারা সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বলে আজ আপনাদের পরিচয় একজন ধর্ষকের বাবা বা মা।সমাজের সকল মানুষ ঐ অমানুষদেরকে বর্জন করুন, পরিবার হতে বর্জন করা হোক। ওরা মানসিক বিকারগ্র্রস্ত তাই ওদের দ্বারা সমাজের তথা দেশের কোন ভালো আশা করা যায় না। ওদেরকে কাউন্সিলিং করা হোক, ওদের পাপবোধ বুঝার ক্ষমতা বোধ জাগুক। তারপর বিচার চাই, ন্যায় বিচার।

এভাবে আমরা আর কোন নারীকে লাঞ্চিত হতে শুনতে চাইনা। বখাটেদের হাত হতে মেয়ে শিশু থেকে শুরু করে নারীদের রেহাই নেই। চলছে ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধ! খুন, ধর্ষন! এভাবে আর কতদিন? অপরাধীদের শাস্তি হোক। যতটুকু ঘৃনা ও ক্ষোভ তা সব উৎসর্গ করলাম ঐ বখাটের জন্য।

Shamsun Fouzia
09/27/2020
New York, USA

No comments

Powered by Blogger.