কাগুজে নোট
কাগুজে নোট
______________
তোমার সব ফেরত দেবো আমি!
তা দিও
পারবে আমার ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে!
আধো কি ভালোবাসতে!
ভালোবাসায় অভিমান থাকে অহম থাকেনা!
কেনো জানি মনে হচ্ছে আবির কখনো আমায় ভালো ই বাসেনি!
হা টাকা সামর্থ অনুযায়ী দিয়েছে!
তাইতো কৃতজ্ঞতার বাঁধনে বেঁধেছে!
এতো জ্বর শায়লার কিন্তু ফোন করে খবর পর্যন্ত নেইনি! টাকা দিয়ে সব কিছু থেকে জামিন পাওয়া যায়! তা কখনো না। এটা আবিরের টাকা দেয়ার অহম মাত্র!
শায়লা আর আবিরের পরিচয় ফেসবুকে। নিয়তির ঝড়ে আবিরের অনুদান শায়লা নেয়। আবির বলে শায়লাকে ভালোবাসে। শায়লা বিশ্বাস করে। তিল থেকে তাল হয় ভালোবাসার। দুজনেই বুঝে ভালোবাসা কারে কয়! আর তাইতো শায়লা সাধারণ নাটকের ইমোশান দৃশ্যে শায়লা কেঁদে কেটে অস্থির হয়। জীবন উজান পথে ই চলে। শায়লা তার স্বামী তমালকে ভুলতে পারেনা। কারণ তমাল তার জীবনে অনেক কিছু। সবচেয়ে বড় কথা তার সন্তানের বাবা। একাদশী চাঁদকে সাক্ষী রেখে ভালোবাসার শপথ নেয়া। নিয়তির ভুলে নিজের কর্ম ফলে ভুগতে হচ্ছে শায়লা আর তমালের পরিবারকে।
নিয়তির কষাঘাতে আবিরের সাথে পরিচয়। তমালের সাথে আবিরকে কিছুতেই মেলাতে পারেনা শায়লা। দুজন দু মেরুর। তমাল চেয়ারম্যান বাবার সন্তান আর আবির জীবনের কষাঘাতে মানুষ। তাই দুজনার জীবন দর্শন দু-রকম। তমাল ক্ষমাশীল। আবির একগুঁয়ে। তাই তো টাকা দিয়ে আবির যা সামলাতে চায় তমাল তা ভালোবাসা দিয়ে করে।
আবির শায়লাকে কেমন ভালোবাসে যার ভীষণ অসুখের সময় তাকে টাকা দেয় কিন্তু খবর রাখেনা। অথচ তমাল টাকা দিতে পারেনা কিন্তু ঘন্টায় ঘন্টায় ফোন করে।
আজ শায়লা আবিরকে জানায় তোমার সব আমি ফেরত দেবো। আবির বলে, সব ফেরত দিতে পারবে কিন্তু আমার ভালোবাসা কি করে ফেরত দেবে!
শায়লা ছেঁড়া ঘুড়ির কাগজ উল্টাতে থাকে। আর হিসেব কষে কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা মন্দবাসা! তাল গোল পাকিয়ে যায়! নিশ্চিত হতে পারেনা কয়েকটা কাগজের নোট ই জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান নাকী এর পরেও কিছু থেকে যায় অবশিষ্ট!!!
_________________________
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
No comments