ভিপি নুর ধর্ষক নয়, ধর্ষকের সহযোগী, বাহানা করে বিচার প্রলম্বিত করেছে।
ভিপি নুর ধর্ষক নয়, ধর্ষকের সহযোগী, বাহানা করে বিচার প্রলম্বিত করেছে। সংবাদ সংম্মেলনে বললেন ঢাবি ছাত্রী ফাতেমা আক্তার।
ফাতেমা আক্তারের বক্তব্য, আমার কিছু কথাঃ
১) আমি কোনপ্রকার ব্যাক্তি, সংগঠন কিংবা রাজনৈতিক দল কর্তৃক প্রভাবিত নই। সুতরাং; আমার নামে যারা কুৎসা রটাচ্ছেন,তারা এটা প্রমাণ করতে না পারলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব৷
২) অনেকেই বলেছেন যে,"ধর্ষক নয়, ধর্ষিতার ছবি-পরিচয় প্রকাশ করুন"। আসামীরা জনপ্রিয় দেখে কি সত্যটা মিথ্যা হয়ে যাবে? জনপ্রিয়রা কি অন্যায় করে না? ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে জনপ্রিয়তার আড়ালেই মানুষ সবচেয়ে বেশি নোংরামি করে।
আর বাংলাদেশে এখনো সেই সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি যে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একটি মেয়ে তার সর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজাবে।
৩) সমস্যা সমাধানে মেসেঞ্জার চ্যাটগ্রুপের যত মেম্বার তারা যা জানে সেটা যদি প্রকাশ না করে তাহলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যাবস্থা নিবো। মেসেঞ্জারে বিষয়টি সমাধানের জন্য যেসব চ্যাটগ্রুপ খোলা হয়েছিল, আমি তাদের নাম প্রকাশ করছি, যাদের কাছে আমি বিচার প্রত্যাশী ছিলাম। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে যারা সমাধানের চেষ্টা করেছিল তারা নিজেরা কিভাবে এটাকে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা বলে প্রচার করল!
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন মানুষের নাম আমি নিম্নে প্রকাশ করলাম।
* শাকিল উজ্জামানা,কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক।01758821025
* মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন,কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। 01819603614
* আরিফ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। 01680967767
* এপিএম সুহেল,কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক।01773771459
* জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক। 01850109664
* লুৎফুন্নাহার লুমা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক।01909528762
* মোহাম্মদউল্লাহ মধু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। 01783987694
* মাসুদ মোন্নাফ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক।01773672422
* আবু বক্করখান, সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ। 01704059528
* মোঃ আমিনুর রহমান, আহ্বায়ক,খুলনা জেলা শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ৷
01737873050
* নিশাদ সুলতানা শাকী, যুগ্ম আহ্বায়ক, রাজশাহী জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ৷
01719897712
* তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক৷ 01725545950
* শামীম আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক। 01521200025
৪) ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিষয়টি নিয়ে যে সমাধান গ্রুপ করা হয়েছিলো অভিযুক্তদের নিয়ে সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তির জন্য এবং সেখানে যে আলোচনাও করা হয়েছিলো সেটা প্রচারিত হয়েছে। সেই চ্যাট গ্রুপে যারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তারা যদি তাদের সংগঠনকে বাঁচাতে বা কোনো প্রকার রাজনৈতিক বা ব্যাক্তি সার্থে বা কোনো চাপে অস্বীকার বা প্রত্যাহার করে তাহলে বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যাবস্থা নিয়ে বাধ্য হবো।
৫) আমি বার বার সবার কাছে ঘুরেছি বিচারের জন্য। কেউ সহায়তা করেনি বা কেউ করতে চেয়েও পারেনি। আসামীরা নিজেরাই বারবার আমাকে আদালতে যাওয়ার মানসিক চাপ দেয়ার পরেও তারা কিভাবে এটাকে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা বলতে পারে? তাহলে শুরু থেকে যখন সবার কাছে গেলাম, তখন কেনই বা তারা আমাকে বিচার পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলো? তারা তখনই কেন বলল না যে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে!
৬) ভিপি নুর যে নীলক্ষেত যায়নি সেটা সে প্রমাণ করুক, তারতো অনেক ক্ষমতা, আমি তো ভুক্তভোগী, অসহায়। সে যে ভন্ডামি করে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা অর্জন করেছে তা তাকে বিচার না দিলে আমি বুঝতে পারতাম না! যে লোকের কাছে অনেক আগেই বিচার দিলাম, সেই এখন সেটাকে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা বলে আন্দোলন করতেছে! আমার লজ্জা হচ্ছে যে এরকম একজন মানুষকে আমি ভিপি পদে ভোট দিয়েছিলাম!
৮) আমি আমার সব হারিয়েছি, সব হারিয়েও আমি বিচার দাবি করছি। বিচারে যদি কেউ গাফিলতি করেন বা অভিযুক্তদের আড়াল করে রাজনৈতিক ঘৃণ্য খাতে প্রবাহিত করেন বা অভিযুক্তদের অন্যায় ভাবে সহায়তা করেন তাহলে আমি আরো কঠোর হবো । আমি কি মানুষ না? আমার কি পরিবার, পরিজন, আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব নেই? নাকি যারা জনপ্রিয় তাদেরই মানসম্মানের ভয় আছে, সাধারণের কারো নেই!
৯) আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। অনেকেই গণভবনে গিয়ে আপনাকে মা ডাকতে পারে আবার তারাই নির্যাতিতাকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপণ করে হুমকিও দিতে পারে। সন্তান হিসাবে নয়, আমি আপনার রাষ্ট্রের একজন নির্যাতিতা সাধারণ ও অসহায় নাগরিক হিসাবে আপনার কাছে আমার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি৷ আর যদি নির্যাতিত হবার পর লাশ না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের কাছে মনে হয় যে ঘটনা সত্য না,তাহলে হয়তো আমার মৃত্যুই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পাইয়ে দিবে।
১০) দেশের সবাইকে আমি বলতে চাই আপনারা অন্ধভাবে নয়, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিবেচনা করুন। একটি অসহায় মেয়ে বার বার তার ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য ঘুরেও না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছে। আবার সেই মেয়েকেই লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। মানসিকভাবে ভেঙ্গে ফেলতে বিভিন্ন অপবাদ দিচ্ছে৷ তবুও এই লাঞ্ছনার বিনিময়ে হলেও আমি চাই সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার হোক যেনো এরকম জনপ্রিয় মুখোশধারীরা যাতে আমার মত আপনার মেয়ে, বোন ও শুভাকাঙ্খীকে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত করতে না পারে!
আর যদি আপনারা মনে করেন আমি মারা যাওয়ার পর বিচার করবেন তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনিই বলুন, আমি তাহলে সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিনীত
No comments