Header Ads

ঘন্নাকাটা _ শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম এর অনুগল্প

ঘন্নাকাটা

ঘন্নাকাটা ও নয় মানুষে কাটাও নয় আসলে ই তমার বরের নাক নেই!

আমি প্রথমে যেদিন শুনলাম, তমার সাথে যার বিয়ে হবে তার নাক নেই তাও একদল মানুষ ভীর করে বলছে! শুনে হাউকাউ করে লোক জমায়েত করে বললাম, আজ বাদে পরশু বিয়ে, নাকে কে কেটে নিলো রে, এতো বড় কলিজা কার। কার এতো বড় বুকের পাটা। যা তোরা থানায় যা আমি ফোন করে দিচ্ছি! তমার মা বলছে, "আরে খালাম্মা না, ছেলেটার নাক নেই!" আসলেই নাক নেই!


নাক নেই মানেনাক নেই! কোনো রকম শ্বাস নিতে পারে! এই, "কোন রকম শ্বাস নিয়ে কি করে মানুষ বাঁচে! এ কেমন কথা। ওর কি শ্বাসকষ্ট  আছে! বুকের কোণে, কোনো ধুকপুকানি!" না খাল্লাম্মা, এসব নাই, নাকের মতো আবার নাক ও বলা যায়না, কোন রকম শ্বাস নিতে পারে! বিয়ে দিচ্ছি, ছেলে ভালো  আর কর্মঠ । আর ছেলে মেয়ে প্রেম করেছে! এখন বিয়ে না দিলে, ভেগে গেলে আমি সমাজে মুখ দেখাবো কি করে! নাকটা  একটু শুধু চামড়ার বাজে লেগে আছে!,কোন রকম শ্বাসটা নিতে পারে! "


সখিনা, ফুশ করে মুখ মুচকি মেরে  বলে উঠলো, " কি এক খান চেহেরা! পোলা পাইছে এটা কম কিসে! পোলা মানে সোনার থালা, ভিক্ষা মাগলে তিন বেলা খাওয়াতে পারব! আর নাই লেখা, নাই পড়া, বিদ্যা বুদ্ধি তো না-ই, নাই চলা ফেরার কায়দা কানুন! ওরে যে জিগাইছে তুই কেডা, এডাই জিগায় কেডা বলে ই আবার মুখ বোঁচা করে মুচকি দিলো! এখন আপনারা দেখুন অন্য কিছু আছে কিনা, নাকি ওটাও ঘন্না কাটা!"


সখিনা, ছ-ছেলে পয়দা করে নিজেকে মহারাণী ভাবছে! আর খালি খনার বচন, গ্রাম্য বচন আর ভেংচি কেটে ই যাচ্ছে! আমি বলি, কিরে তোর কি হলো! তুই বার বার কথার জবাবে ভেংচি কাটিস কেনো!


"আপা পাটি নাই ঘুমানোর। ওরা আমারে চুলের মুঠি ধইরা মারে! আমারে মাইরা আবার মিছা কথা কয়! আবার আমারে মাইরা দেখুক খুন্তি গরম কইরা আঁতুর ঘরের স্যাক দিয়া দিমু! মনে হয়, পয়দা হওয়ার সময় আঁতুর ঘরের পাঁচ দিনের স্যাক মা নানী দেয় নাই! এইবার বালা মতন কইরা স্যাক দিয়া দিমু, আমি এখন পোলা বিয়া করাইছি!বউ আমার জোয়াদ্দার বাড়ির  মাইয়া!"

- শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম


1 comment:

Powered by Blogger.