প্রস্টিটিউট _ ছালেহা খানম
প্রস্টিটিউটদের সুখের উঠানে চলে
পুনঃ পুনঃ দুঃখ জন্মের মেলা।
যেমনি, শেওলার গহীনে জলের চিরায়ত খেলা।
চামড়ার স্তরের নীচে লুকিয়ে থাকা ব্যথা কেউ কিনবেনা-
কি হবে আর সেই ব্যাথার খোঁজ রেখে!
কাজল, আইলাইনার, মাস্কারা,
আইশ্যাডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হাসি- মায়াবী চোখ,
সে চোখ মহাদেবের নীলকন্ঠের রূপ;
সমাজের বিষ সে চোখ একাই দেখে-
একাই সে পান করে।
রঙ মেখে দাঁড়িয়ে থাকা বাবুদের কি কেউ যাচে?
বাবুরাইতো সমাজের প্রস্টিটিউট কাস্টমার।
কাস্টমার যদি না-ই থাকতো-
প্রস্টিটিউট শব্দটি কি ডিকশনারি তে আসতো!
বাবুদের পাঁজরে লুকানো হাসির অগ্রাধিকারীকে-
বঞ্চিত করে প্রস্টিটিউটে ঠেলে দিয়ে
পরিবর্তনের চেলেঞ্জ অনুশীলন করে।
পৃথিবী যেন বাবুদের পরিবর্তন না করে
তাদের হাসি বদলে দিতে চান।
তাদের কি এটাই লক্ষ- স্বপ্ন মূল?
গন্তব্যে যাওয়ার পথ?
না; তাঁরা পাহাড় ভাঙ্গার জন্য কঠোর চেষ্টা করে।
দুর্দশা গুলোকে প্রতিহত করে জয়ী হয়না,
অশ্লীলতার কাছে ম্লান হয়ে যায়।
বিশ্বাসঘাতকতা অনুভব করে,
অবশেষে, জীবন সংগীত থামিয়ে কষ্ট, অসম্মান,
লাঞ্চনা, গঞ্জনা গুলোকে সম্মান ভেবে
বুকে আলগে বেঁচে থাকে।
No comments