Header Ads

আসুন সচেতন হই নিজেকে পাল্টে ফেলি জীবন গড়ি _ অসিত কুমার বাড়ৈ

আসুন সচেতন হই নিজেকে পাল্টে ফেলি জীবন গড়ি

এ-ই পৃথিবীতে এযাবৎকালে যত মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায় বিভূষিত হয়েছেন বা মহামানব - মহীয়সীতে পরিণত হয়েছেন তার প্রায় ৮০% মানুষই কোনো না কোনোসময় দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত হয়েছিলেন, বাস্তব জীবনকে খুব কাছে থেকে উপলব্ধি করেছেন । আবার অনেকে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করার পরেও সেই ঐশ্বর্য আর ভোগবিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন না ! আমরা যদি একটু ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাই তাহলেই দেখতে পারি - বৃহত্তর যশোরের তৎকালীন জমিদার রাজনারায়ণ দত্তের ছেলে হয়েও মাইকেল মধুসূদন দত্ত ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন, এমনকি বিনা চিকিৎসায় তাকে বিলেতে বসে মরতে হয়েছে ! বিশ্বসেরা ধনী বিল গেটসের বাবা জঙ্গলে কাঠ কাটতেন একসময় , মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের বাবা মুচির কাজ করতেন । আরেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ছোটবেলা শহরে ঘুরে ঘুরে বাদাম আর পত্রিকা বিক্রি করতেন ! ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিজীও কিন্ত তার বাবাকে চা বিক্র করতে সাহায্য করতেন ! বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের পিতা জঙ্গলে শিকার করতেন। সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি হালিমা বিনতে ইয়াকুব তার মায়ের সাথে রেস্টুরেন্টে পরিচ্ছন্নতা কর্মী / পরিচারিকার কাজ করতেন , বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণরের তো দুবেলা খাবারই জুটতোনা, প্রাইমারি স্কুলে যাওয়া মতো প্যন্ট ছিলোনা।কানাই কেরানির কাছ থেকে ধার করা প্যাণ্ট পড়ে ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন! বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জীবিকার তাগিদে রুটির দোকানে কাজ করতে হয়েছিলো, তাই হয়তো তিনি লিখতে পেরেছেন " হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান " ইতিহাসে এমন হাজারো প্রমাণ রয়েছে! যা বলে শেষ করা মুস্কিল ! আর চেহারা - সৌন্দর্য পোষাক বা মানবতার কথা বলছেন ! সক্রেটিসের পিঠের আকৃতি ছিলো কচ্ছপের পিঠের মতো উঁচু আর খসখসে। মহাত্মা গান্ধী বা বাপুজি খালি গায়ে একটা ছোট কাপড় পেচিয়ে সুতা কেটেই জীবন পার করেছেন। মাওলানা ভাসানী নিজেই রান্না করে মোটা কাপড় পড়ে ছনের ঘরে থাকতেন, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লী শিয়েন লুং নিজে গাড়ি চালান এবং সাধারণদের মতো লাইনে দাঁড়িয়ে শপিংমলে কেনাকাটা করেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লোকাল বাসে অফিস করতে যান! পার্থিব এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ী, গহনার দরকার হয়না! জীবন তো প্রকৃতির নিয়মে চলে যাচ্ছে, কেউ কি কখনো পেরছেন প্রকৃতির নিয়মের বাইরে কিছু করতে বা চলতে "একদিন সব কিছুই পরে থাকবে, আমরা কেউ কিছুই নিয়ে যেতে পারবোনা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে আমাদের কর্ম, সততা আর মানবতার। ভেবে দেখেছেন কি - আসলে প্রতিনিয়তই আমরা নিজেই নিজেদের ধ্বংসের মুখে ধাবিত করছি ! আপনি আমি আমরা এখানে আর কদিন আছি ! আমরা চলে যাওয়ার পরে একমাত্র কর্মই আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে পারে অনাদি-অনন্তকাল ! সময় আছে এখনো আসুন সচেতন হই নিজেকে পাল্টে ফেলি জীবন গড়ি - সততা , কর্ম ও মানবতায়,,,,,,,!
সুপার স্টার জেমিনি জাহাজ
মেরিনা সিঙ্গাপুর ।


1 comment:

  1. অনেক সুন্দর পোষ্ট , অনেক ভাল লাগলো।

    ReplyDelete

Powered by Blogger.